সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

নদীগর্ভে বিলীন ফসলি জমি

পূর্ব বগুড়ায় নদীভাঙনে ৫৫০ ঘর স্থানান্তর

পূর্ব বগুড়ায় নদীভাঙনে ৫৫০ ঘর স্থানান্তর

সংগৃহীত

পূর্ব বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় যমুনা নদীতে ব্যপক ভাঙনে ৫৫০টি ঘর স্থানান্তর করতে হয়েছে এবং ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী গত এক সপ্তাহে সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীতে অব্যাহতভাবে ব্যাপক ভাঙনে ১০০ একরেরও অধিক ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন এবং আবাসন কেন্দ্রের ঘরসহ ৫৫০টি ঘর অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে। উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের ইছামারা হতে দড়িপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে অব্যাহতভাবে যমুনা নদীর ব্যাপক ভাঙনে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে শত শত বিঘা ফসলী জমি।

দড়িপাড়া গ্রামে পরিত্যক্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে বসবাসরত ইদ্রিস আলী মন্ডল জানান, নদীটি অনেক দূরে ছিল। এখন নিকটে এসেছে। এখন কোথায় যাব? বাবু প্রাং জানান, আমার বাড়ী উপজেলার বোহাইল ইউনিয়নে ছিল। ৭ থেকে ৮টি ভাঙনের পর ৪০ বছর আগে দড়িপাড়া গ্রামে এসেছি। ভালোই ছিলাম বর্তমানে নদীর ব্যাপক ভাঙনে আমরা আতঙ্কিত। গোদাখালী গ্রামের মৃত সিকান্দার প্রাং এর পুত্র দুদু প্রাং জানান, আমারো ৫ বিঘা ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। হাটশেরপুর ইউনিয়নের খোর্দ্দবলাইল গ্রামের কৃষক মোর্তজা আলী জানান, হাটশেরপুর চরে আমার প্রায় ১০০ বিঘা ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

চালুয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বাদশা জানান, যমুনা নদীর উজানে চরাঞ্চলের চালুয়াবাড়ী, হাটবাড়ী, সুজানেরপাড়া, মানিকদাইড়ে ব্যাপক ভাঙন অব্যাহত আছে। সুজানেরপাড়া আবাসনের ঘরসহ ৫৫০টি ঘর অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে। মানিকদাইড় চরে ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ঠিকাদারের মাধ্যমে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে প্রতিরোধ মূলক কাজ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক জানান, দড়িপাড়া গ্রামে নদী ভাঙন রোধে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। যেসব জায়গায় ভাঙন রয়েছে সেখানে প্রতিরোধ মূলক কাজ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ:

শিরোনাম: