মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২

ফজরের সুন্নতের পর কাজা নামাজ পড়া যাবে?

ফজরের সুন্নতের পর কাজা নামাজ পড়া যাবে?

সংগৃহীত

দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মুমিনের ওপর ফরজ। মানুষ যেখানে থাকুক না কেন— সময়মতো নামাজ আদায় করতেই হয়। এই ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনুল কারিমে ইরশাদ করেন, ‘নামাজ মুমিনের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১০৩)

তাই কোনো ধরনের ওজর বা অপারগতা ছাড়া কোনো নামাজের সময় চলে যাওয়ার পর আদায় করা— জায়েজ নেই। কেউ ইচ্ছাকৃত সময়মতো নামাজ আদায় না করলে, তাকে গুনাহগার হতে হবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪৯৬)

নিতান্ত ভুলবশত, অপারগ হয়ে কিংবা অতি বিশেষ কারণে কোনো ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে না পারলে— পরবর্তী সময়ে এই নামাজ আদায় করে দিতে হয়। আর এই নামাজ আদায়কে কাজা নামাজ বলা হয়। ফরজ কিংবা ওয়াজিব নামাজ ছুটে গেলে, সে নামাজের কাজা আদায় করা আবশ্যক। সুন্নত কিংবা নফল নামাজ আদায় করা না গেলে, সেটার কাজা আদায় করতে হয় না।

নামাজের নিষিদ্ধ সময়গুলো ছাড়া যেকোনো সময় কাজা নামাজ আদায় করা যায়। তবে আমরা জানি যে, সাধারণত ফজরের ওয়াক্ত হয়ে যাওয়ার পর ফজরের সুন্নত ছাড়া অন্য নফল নামাজ পড়া যায় না। কিন্তু কেউ যদি এই সময়ে অর্থাৎ, ফজরের সুন্নত পড়ার পর পিছনের জীবনের কাজা নামাজ আদায় করতে চায় তাহলে তা আদায় করা যাবে কি না? 

এ বিষয়ে ইসলামী আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদেরা বলেন, ফজরের ওয়াক্ত হওয়ার পর ফজরের দুই রাকাত সুন্নত ছাড়া অন্য কোনো নফল নামাজ পড়া মাকরূহ। তবে এ সময়ে কাজা নামাজ পড়া যাবে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৭২৩; কিতাবুল আছল ১/১২৬) 

ফজরের সুন্নত নামাজের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। রাসুল (সা.) ঘরে-সফরে সবসময় ফজরের সুন্নত পড়তেন।

উম্মুল মুমিনিন হাফসা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, মুআজ্জিন ফজরের আজান শেষ করলে ও ফজর উদিত হলে, রাসুল (সা.) ফজরের নামাজের আগে দুই রাকাত সংক্ষিপ্ত সুন্নত পড়তেন। (বুখারি, হাদিস : ৬০১)

আরেক হাদিসে উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) ফজরের দুই রাকাত সুন্নতের মতো অন্য কোনো নফলের প্রতি অতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন না। (বুখারি, হাদিস : ১১৬৩)

সূত্র: ঢাকা পোষ্ট