শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

বিপদের ওপর বিপদ! ফের ছুটে আসছে বিশালকায় গ্রহাণু

বিপদের ওপর বিপদ! ফের ছুটে আসছে বিশালকায় গ্রহাণু

বিপদের ওপর বিপদ। একদিকে করোনা হামলায় যখন প্রায় বিপর্যস্ত মানবসভ্য়তা, তখন একের পর এক গ্রহাণু ছুটে আসছে পৃথিবীকে লক্ষ্য করে। শুক্রবারই পৃথিবীকে লক্ষ্য করে ধেয়ে আসছে এ রকমই একটি বিশালকায় গ্রহাণু। এ বিষয়ে এরই মধ্যে সতর্কতা জারি করেছে নাসা। এই গ্রহাণু পৃথিবীর এত কাছ দিয়ে যাবে যে তাকে ঝুঁকিপূর্ণ আখ্যা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়, শুক্রবার যে গ্রহাণুটি এগিয়ে আসছে তা আয়তনে বিশালকায়। এমনকি লন্ডন আইয়ের চেয়েও দেড় গুণ বড় এই গ্রহাণু। বিজ্ঞানীরা এই গ্রহাণুর আগমনকে ঝুঁকিপূর্ণ বলেই মনে করছেন।

লম্বায় ১৭০ মিটারের গ্রহাণু পৃথিবীর ০.০৩৪ অ্যাস্ট্রনমিক্যাল ইউনিট (এইউ) দূরত্বের মধ্যে চলে আসবে। এক এইউ (১৪৯,৫৯৮,০০০ কিমি) পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যে দূরত্বের সমান। আরো মারাত্মক তথ্য হলো, গ্রহাণুটির গতিবেগ ঘণ্টায় ৪৮ হাজার কিলোমিটার। তবে নাসার বিজ্ঞানীরা এ কথা জানিয়ে আশ্বস্ত করেছেন, পৃথিবীর কান ঘেঁষে চলে যাবে গ্রহাণুটি। এরপর আরো একটি গ্রহাণু রবিবার পার করবে পৃথিবীকে। 

গ্রহাণুর নাম দেওয়া হয়েছে এসটেরয়েড ২০২০এনডি। প্রচণ্ড গতিতে পৃথিবীকে লক্ষ্য করে ছুটে আসছে এটি। তবে পৃথিবী থেকে নিরাপদ দূরত্ব দিয়েই এটি পেরিয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এটি পেরিয়ে গেলেও বিপদ পিছু ছাড়ছে না পৃথিবীর। ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অন্তর্গত নাসার জেট প্রোপালসন ল্যাবরেটরি জানিয়েছে, বিভিন্ন আকারের আরো ৪৮টি গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। পৃথিবীর খুব কাছ দিয়েই গ্রহাণুগুলো যাবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

গ্রহাণু ও ধূমকেতুর মতো যেসব মহাজাগতিক বস্তু পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসে, সেগুলোকে নিয়ার আর্থ অবজেক্টস বা এনইও বলা হয়। এই এনইওগুলো সাধারণত পানি থেকে পরিণত বরফ এবং ঘন ধূলিকণা দিয়ে তৈরি হয়। সূর্যের কক্ষপথে প্রবেশ করার সঙ্গে এরা পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসতে থাকে।

এই মাসেই আরো তিনটি গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে নাসা। এর মধ্যে একটি পৃথিবীর পাশ দিয়ে যাবে আগামী ২৯ জুলাই এবং আগামী ৩১ জুলাই পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসবে আরো একটি গ্রহাণু।

জুন মাসে পৃথিবীকে লক্ষ্য করে ছুটে আসে তিনটি গ্রহাণু। ৬, ৮ এবং ২৪ জুন পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে তিনটি গ্রহাণু যায়।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ: