
সংগৃহীত
মঙ্গলবার নতুন আইফোন উন্মোচন করবে অ্যাপল। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারে প্রতিদ্বন্দ্বীরা এগিয়ে থাকায় এবারের লঞ্চ কিছুটা নীরস হতে পারে। এরপরও ‘আইফোন এয়ার’ এই ইভেন্টে বড় আকর্ষণ হয়ে উঠতে পারে।
‘আইফোন এয়ার’ হবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সরু আইফোন। যার নাম নেওয়া হয়েছে অ্যাপলের ম্যাকবুক এয়ার থেকে। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে আইফোনের ডিজাইনে বড় কোনো পরিবর্তন আসেনি। এ কারণে সরু ও নতুন ফর্ম ফ্যাক্টরের ফোনটি আইফোন ১৪, ১৫ ও ১৬ ব্যবহারকারীদের আপগ্রেডে উৎসাহিত করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ভবিষ্যতের ভাঁজযোগ্য আইফোনেরও ভিত্তি তৈরি করতে পারে। যদিও সেটি বাজারে আসতে আরও এক বছর লাগতে পারে।
স্যামসাং ইতোমধ্যেই তাদের সপ্তম প্রজন্মের ফোল্ডেবল ফোন বাজারে এনেছে। গুগলও এনেছে তৃতীয় প্রজন্ম। তবে এখনো এসব ডিভাইস মোট বাজারের ২ শতাংশেরও কম।
চীনা বাজারে টিকে থাকতে অ্যাপলের জন্য একটি ফোল্ডেবল আইফোন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। যেখানে ভাঁজযোগ্য ফোন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এবং অ্যাপল বাজার হারাচ্ছে।
ইতিহাসগতভাবে অ্যাপলের আয়ের এক-চতুর্থাংশ এসেছে মধ্যম দামের আইফোন থেকে। বিশ্লেষকরা বলছেন, কোম্পানি এবার সরাসরি দাম না বাড়িয়ে বেশি স্টোরেজ ক্যাপাসিটিতে উচ্চমূল্য নির্ধারণের পথ বেছে নিতে পারে।
অ্যাপল সিরি আপগ্রেডের পরিকল্পনা করলেও তা প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে স্থগিত হয়। পরে ওপেনএআই-এর সাথে অংশীদারিত্বে কিছু এআই ফিচার চালু করা হয়। তবে গুগলের সর্বশেষ পিক্সেল ফোনগুলো জেমিনি এআই-কে ঘিরে তৈরি হওয়ায় প্রতিযোগিতায় অ্যাপল পিছিয়ে পড়েছে।
প্রতিবেদন বলছে, অ্যাপল এখন গুগলের জেমিনি এআই ব্যবহার করে সিরিকে নতুনভাবে সাজানোর আলোচনা করছে।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অ্যাপলের হাতে সময় কম। আগামী এক বছরের মধ্যে যদি সিরি কার্যকরভাবে উন্নত না হয় এবং ফোল্ডেবল আইফোন না আসে, তবে মার্কিন বাজারে তাদের শক্ত অবস্থানও নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে।
তবে নতুন অ্যাপল সিলিকন চিপ সিরিকে আরও কার্যকর এআই প্রসেসিং দিতে পারে। যা ভবিষ্যতে ব্যবহারকারীর জন্য স্বয়ংক্রিয় কাজ সম্পাদন করতে সক্ষম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সূত্র: ঢাকা পোষ্ট