শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এমবাপের জোড়া গোলেও জয় বঞ্চিত পিএসজি

এমবাপের জোড়া গোলেও জয় বঞ্চিত পিএসজি

দুর্ভাগ্য একেই বলে। ৩টি গোল দেয়ার পরও জিততে পারলো না আগের সপ্তাহেই চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরা প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। কিলিয়ান এমবাপে করলেন জোড়া গোল। তাতে ৩-১ ব্যবধানেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার কথা ফ্রেঞ্চ লিগে রেকর্ড ১০ বারের চ্যাম্পিয়নদের।

কিন্তু একটি আত্মঘাতি গোল এবং শেষ বাঁশি বাজার কয়েক মুহূর্ত আগে স্ট্রসবার্গের আরও একটি গোলে জয় বঞ্চিত হলো পিএসজি। ম্যাচ শেষ হলো ৩-৩ গোলের ব্যবধানে।

স্ট্রসবার্গের মাঠে নানা নাটকীয়তায় পূর্ণ ছিল পিএসজির এই ম্যাচটি। ৬ গোলের চারটিই দিয়েছে প্যারিসের ক্লাবটি। যার একটি আত্মঘাতি। আবার ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে পিএসজির নিশ্চিত জয় কেড়ে নিয়ে সমতাসূচক গোল করেন অ্যান্থোনি ক্যাসি।

পিএসজির হয়ে জোড়া গোল করেছেন কিলিয়ান এমবাপে। বাকি গোলটি করেছেন আশরাফ হাকিমি। আর নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দিয়েছেন মার্কো ভেরাত্তি।

ম্যাচের শুরুতেই অবশ্য ঘরের মাঠে দর্শকদের আনন্দে ভাসায় স্ট্রসবার্গ। মাত্র তিনি মিনিটের মাথায় গোল আদায় করে নেয় তারা। কেভিন গ্যামেইরো গোল করে এগিয়ে দেন স্বাগতিকদের। দারুণ গতিতে প্রেসনেল কিম্পেম্বেকে পেছনে ফেলে লুকাস পেরিনের পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পিএসজির জাল খুঁজে নেন গ্যামেইরো।

গোল হজম করার পর ম্যাচে ফেরার তুমুল চেষ্টা চালাতে থাকে পিএসজি। যার ফল তারা পেয়ে যায় ২০ মিনিট পরই। ম্যাচের ২৩ মিনিটের মাথায় প্রথম গোলের দেখা পান কিলিয়ান এমবাপে। পিএসজির রক্ষণভাগে পেরিন বল হারালে সেটা পেয়ে যান কিম্পেম্বে। তার বাড়ানো বল ধরে কিছুটা এগিয়ে যান নেইমার। বাম পাশ ধরে মাঝমাঠ পেরিয়েই এমবাপেকে বল পাস দেন তিনি। আড়াআড়ি ভেতরে ঢুকে কাছের পোস্ট দিয়ে স্ট্রসবার্গের জালে বল জড়িয়ে দেন এই ফরাসি তারকা।

১-১ গোলে সমতায় থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর ১৯ মিনিট পর, ম্যাচের ৬৪তম মিনিটে পিএসজিকে এগিয়ে দেন আশরাফ হাকিমি। নেইমারের ডিফেন্স চেরা পাসে কাটব‍্যাক করেন এমবাপে। পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে বাকি কাজটা সারেন হাকিমি।

এর চার মিনিট পর আবারও গোল। এবারের গোলদাতা কিলিয়ান এমবাপে। মাঝমাঠ থেকে গোলরক্ষকের উদ্দেশ‍্যে দুর্বল ব‍্যাকপাস দেন স্ট্রসবার্গের জিকু। কিন্তু বল পেয়ে যান এমবাপে। অনায়াসে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পোস্ট খুঁজে নেন এমবাপে। পিএসজি এগিয়ে যায় ৩-১ গোলে।

কিন্তু ৭৫ মিনিটে সর্বনাশটি করে ছাড়েন মার্কো ভেরাত্তি। নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন তিনি। কর্নার থেকে হাবিব দিয়ালোর হেড ভেরাত্তির গায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। তেমন কিছু করার ছিল না জিয়ানলুইজি ডোনারুমার।

ম্যাচ যখন ৩-২ এ শেষ হওয়ার পথে, ইনজুরি সময়ের খেলা চলছিল, তখনই পিএসজির সর্বনাশ করেন অ্যান্থোনি ক্যাসি। ৯০+২ মিনিটে সমতাসূচক গোলটি করেন তিনি।

দৈনিক বগুড়া