কয়েক বছর আগেও ক্রিকেট ছিল শুধুই সাদা ও লাল বলের খেলা। তবে এখন সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরো একটি রঙ, গোলাপি। গোলাপি বলের ম্যাচে বোলারদের রাজত্ব চলছে, খাবি খাচ্ছেন ব্যাটসম্যানরা। এমতাবস্থায় অনেকেই গোলাপি বলে খেলা বাতিল করতে চাইছেন। বল প্রস্তুতকারী সংস্থা এসজি জানিয়েছে, গোলাপি বল নিয়ে আরো পরীক্ষা করতে চায় তারা।
সাধারণ বলের সঙ্গে গোলাপি বলের পার্থক্যের বড় জায়গা, এখানে বার্নিশের বাড়তি আস্তরণ থাকে। জো রুটের মতে, দিবারাত্রির টেস্টে স্পিনারদের বল অনেক দ্রুত ব্যাটে আসছে। ঠিকভাবে টাইমিং না হওয়া বা বলের ফ্লাইট বুঝতে না পেরেই টিকতে পারছেন না ব্যাটসম্যানরা।
ভারতের মাটিতে গোলাপি বলে এখন পর্যন্ত ২টি টেস্ট খেলা হয়েছে। ভারতে টেস্টের লাল বল তৈরি করে এসজি সংস্থা। তারাই গোলাপি বল তৈরি করেছে। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম গোলাপি বলের টেস্ট খেলেন বিরাট কোহলিরা। সেই ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছিল আড়াই দিনে। এরপর মোতেরায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট শেষ হয় মাত্র ২ দিনে।
এসজি সংস্থার বিপণন শাখার প্রধান পরস আনন্দ বলেছেন, গোলাপি বলে ২০-২৫ ওভার অবধি চকচকে ভাব থাকে। তারপর যে কোনো পুরনো বলের মতোই আচরণ করে। এই বলের ক্ষেত্রে পিচে ঘাস থাকা বাঞ্ছনীয়। এতে চকচকে ভাবটা অনেকক্ষণ ধরে রাখা যায়।
ইডেনে গোলাপি বলের টেস্টে পিচে ঘাস ছিল প্রায় ৬ মিলিমিটার। নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে অবশ্য সেসবের চিহ্নই ছিল না। ২ টেস্টেই দাপট দেখিয়েছিলেন বোলাররা। কলকাতায় ২৮টির মধ্যে ২৭টি উইকেট নিয়েছিলেন পেসাররা। মোতেরায় ৩০টি উইকেটের মধ্যে ২৮টি নেন স্পিনাররা।
ঘাস না থাকলে স্পিনে বাড়তি সুবিধা করে দিচ্ছে গোলাপি বল এমন ধারণার পরিপ্রেক্ষিতে আনন্দ বলেন, গোলাপি বলে বাড়তি বার্নিশ রাখতেই হবে। নাহলে রাতের দিকে বল দেখা যাবে না। আমাদের এখনো অনেক পরীক্ষা করতে হবে। আমাদের হাতে সময় রয়েছে এটাই ভাল দিক।
ভারতীয় ক্রিকেট দলের অনেকেই এই বল পছন্দ করছেন না বলে জানা গেছে। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) বলছে, গোলাপি বলে খেলা হবেই। টেস্ট ক্রিকেটে দর্শক টানতে গোলাপি বলের ভূমিকা বড় হতে চলেছে।
দৈনিক বগুড়া