শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অসাধ্য সাধন করতে হবে বাংলাদেশকে

অসাধ্য সাধন করতে হবে বাংলাদেশকে

নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে এখনো পর্যন্ত ১০৯ ম্যাচ খেলে ১০টিতে জিতেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। যার অর্ধেক অর্থাৎ ৫টি জয়ই এসেছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। রোডেশিয়ানদের বিপক্ষে পঞ্চম ও নিজেদের ইতিহাসের ১১তম জয় থেকে ৩২১ রান দূরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এই রান করতে টাইগারদের হাতে রয়েছে পুরো ১০টি উইকেট, বাকি আছে কমপক্ষে ২০৪টি ওভার।

সংখ্যার বিচারে যতোটা সহজ মনে হচ্ছে এই ৩২১ রান, বাস্তবিকতার বিচারে ঠিক ততোটাই কঠিন এই লক্ষ্য তাড়া করা। অন্তত বাংলাদেশের অতীত ইতিহাস সে সাক্ষীই দিচ্ছে। আগের দশ জয়ের মধ্যে কেবল তিনটিতেই রান তাড়া করে জিতেছে টাইগাররা।

এখনো পর্যন্ত রান তাড়া করে পাওয়া সেই তিন জয়ে সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০০৯ সালে। সে ম্যাচে সাকিব আল হাসানের বীরত্বে ২১৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করেছিল বাংলাদেশ। গত বছর শ্রীলঙ্কার মাটিতে নিজেদের শততম টেস্টে জয়টি এসেছিল ১৯২ রান তাড়া করে।

আর ঘরের মাঠে রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড কেবল একটিই। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ১০১ রান তাড়া করে জিতেছিল টাইগাররা। কিন্তু সে ১০১ রান করতেই পড়েছিল ৭টি উইকেট। শেষ দিকে মুশফিকুর রহিম ও তাইজুল ইসলাম দাঁতে দাঁত চেপে নিশ্চিত করেছিলেন দলের জয়।

এছাড়া ঘরের মাঠে ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও জয় পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। সে ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ৫৫৬ রান করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয়ে গিয়েছিল মাত্র ১৬৭ রানে। হারতে হয়েছিল ৭৭ রানের বড় ব্যবধানে।

সে তুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলতি সিলেট টেস্টে ৩২১ রানের লক্ষ্যটা বেশ বড়সড়ই বলা চলে। এই লক্ষ্যটা আরও কঠিন হয়ে যাবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের দ্বিতীয় ইনিংসের পরিসংখ্যান হিসেব করলে।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে নিজেদের দ্বিতীয় ও খেলার চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ৫ উইকেটে ২৮৫। ২০০৫ সালে ঢাকায় ৩৭৪ রানের টার্গেটের পিছু ধেয়ে এই রান করেছিল বাংলাদেশ। যা কি-না রোডেশিয়ানদের বিপক্ষে ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।

অর্থাৎ আগে কখনো জিম্বাবুয়ের সাথে ৩০০ রানের চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে পারেনি বাংলাদেশ। তার মানে এই ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে হারাতে হলে রেকর্ড গড়েই জিততে হবে বাংলাদেশকে।

তবে বাংলাদেশের জন্য রয়েছে আশার কথাও। নিজেদের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ ৪১৩ রান। ঘরের মাঠে ২০০৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫২০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪১৩ রান পর্যন্ত করতে পেরেছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচের অনুপ্রেরণায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও তেমন কিছু করতে পারলেই চলে আসবে নিজেদের ইতিহাসের ১১তম জয়।

দৈনিক বগুড়া