বগুড়ার ধুনট উপজেলায় খুন, ধর্ষণ, চুরি, ছিনতাই, মাদক, জুয়া, অবৈধ বালু উত্তোলন, বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ কর্তন, শব্দ দুষণ, শিশু শ্রম ও জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতিসহ ২০টি অপরাধ বিষয় নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উপজেলা আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভায় এসব অপরাধমুলক কর্মকান্ড নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত এসব আলোচনার মধ্যে সবচেয়ে বেশী গুরত্ব পেয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির বিষয়টি। উক্ত সভায় এসব অপরাধি চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জানা গেছে, এক মাসে এ উপজেলায় খুন, ধর্ষণ, চুরি, ছিনতাই, মাদক, জুয়া খেলা অন্যান্য সময়ের তুলনায় কমেছে। তবে যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ কেটে বালু পরিবহন, প্রচার মাইকে শব্দ দুষণ ও শিশু শ্রম সহ অন্যান্য অপরাধ আগের তুলনায় বেড়েছে। এসব ছাপিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি চক্রটি। জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি চক্র বিভিন্ন দোকানের কম্পিউটার থেকে অবিকল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরী করছে। ওই পরিচয়পত্রে জন্ম তারিখ ও নাম ঠিকানা পরিবর্তন করে বিভিন্ন ধরণের বেসরকারি চাকরি এবং বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা সহ সরকারি বিভিন্ন ধরণের সুযোগ নিচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষ জালিয়াতি চক্রের ফাঁদে পড়ে আর্থিক ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে। সম্প্রতি বয়স্ক ভাতাভোগীদের জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই বাছাইকালে প্রায় এক হাজার বয়স্ক ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির বিষয়টি প্রশাসনের কাছে ধরা পড়েছে। ফলে অন্যান্য অপরাধ নির্মুলের পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বগুড়া-৫ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবর রহমান।
সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর-ধুনট সার্কেল) গাজিউর রহমান, ধুনট পৌরসভার মেয়র এজিএম বাদশাহ, ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা, ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন সরকার, এমএ তারেক হেলাল, জুলফিকার আলী ভুট্টো, নাজমুল কাদির শিপন, লাল মিয়া, হারুন-অর-রশিদ সেলিম, হারেজ উদ্দিন আকন্দ, আতিকুল করিম আপেল, ময়নুল হাসান মুকুল, আজাহার আলী পাইকাড়, বীরমুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস আলম, ধুনট প্রেসক্লাবের সভাপতি রফিকুল আলম, সহসভাপতি কলামিষ্ট রেজাউল হক মিন্টুসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
আলোচনা শেষে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাবিবর রহমান এমপি উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের হাতে সরকারি অনুদান হিসেবে কম্পিউটার সামগ্রী তুলে দেন।
দৈনিক বগুড়া