শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শিশুকে এই খাবারগুলো দেয়ার আগে সাবধান

শিশুকে এই খাবারগুলো দেয়ার আগে সাবধান

ছোট শিশু অনেক কিছু খাওয়ার জন্যই বায়না করে। মা-বাবা কিংবা কাছের মানুষজন শিশুদের সেই বায়না পূরণও করেন। মাঝে মধ্যে এমন কিছু খাবার খাওয়ার জন্য শিশু জেদ করে যা না দিতে ইচ্ছা করলেও, মা-বাবাকে শিশুর জেদের কাছে হাড় মেনে সে খাবারটি দিতে হয়। একটু অসাবধান হলেই যা শিশুর জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।  

সেই তালিকায় প্রথম খাবারটি হলো ক্যান্ডি বা এ জাতীয় গোলগাল শক্ত খাবার, যেগুলো সরাসরি গিলে ফেললে গলায় আটকে যাওয়ার দারুণ আশঙ্কা থাকে। তালিকায় আরেকটি নীরব ঝুঁকির নাম ডিমের কুসুম। ছোট শিশুকে ডিমের আস্ত কুসুম খেতে দেয়ার আগে সেটাকে মাঝ বরাবর ভেঙে বা কেটে দেয়াই উত্তম। চেরি ও বড় আকারের আঙুরের বেলাতেও সাবধান থাকুন। এছাড়াও আরও যেসব খাবারের বেলায় সতর্ক থাকবেন সেগুলো হলো-  

চিনি বা লবণ

শিশুদের খাবারে চিনি না রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কারণ তাদের শরীরে এর চাহিদা তৈরি হয় না সহসা। আবার লবণটাও দিতে হবে কম। তা না হলে সরাসরি ঝুঁকিতে পড়ে যাবে আপনার সোনামণির কিডনি।

চুইংগাম

পছন্দের তালিকায় যতই উপরে থাকুক, চুইংগাম নিয়ে কিন্তু ঢের বিপদের আশঙ্কা। গোলেমেলে একবার গিলে ফেললেই বিগড়ে যাবে পাকস্থলীর মেজাজ। গলায় আটকে তো যেতেই পারে, আবার ডেকে আনতে পারে মারাত্মক কোষ্ঠকাঠিন্যও।

বাদাম কিংবা বাদামের বাটার

পাচ বছরের নিচে অনেক শিশুরই বাদামে অ্যালার্জি থাকে। তাই আহ্লাদে আটখানা হয়ে আস্ত পিনাট বাটারের বয়াম তাদের হাতে তুলে দেবেন না। বাদামের বার জাতীয় যে স্ন্যাক্সটা দেখা যায়, সেটাও একটু একটু করে খেতে দিন।

কাঁচা দুগ্ধজাত পণ্য

গ্রামের দিকে একটা প্রবণতা দেখা যায়, অনেক শিশুই গরুর দুধ দোহানোর পর সরাসরি তা পান করে ফেলে। পাস্তুরিত না করা দুধ খেলে দেখা দিতে পারে মারাত্মক বদহজম। আবার পনির বা ছানার মতো কিছু দুগ্ধজাত পণ্যের সঙ্গেও শিশুদের হজমশক্তির সমঝোতা হয় না। সেগুলোও এড়িয়ে চলতে পারলে ভালো।

ফিজি পানীয়

সোডা জাতীয় বা কার্বোনেটেড পানীয় সবার জন্যই ক্ষতির কারণ। তবে শিশুদের কোমল দাঁতের বারোটা বাজাতে এসব পানীয়ের জুড়ি নেই। তালিকায় আছে নানা ধরনের লাচ্ছি, স্মুদি ইত্যাদি।

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

দৈনিক বগুড়া