রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ২ আষাঢ় ১৪৩১

আজকের বাংলাদেশ বনাম শেখ হাসিনা

আজকের বাংলাদেশ বনাম শেখ হাসিনা

সংগৃহীত

আজ থেকে চার দশক আগেও পুরো বিশ্ব বাংলাদেশকে একটা তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে জানত এবং চিনত। বিভিন্ন দেশ আর দাতা সংস্থার সাহায্য নিয়েই চলত বাংলাদেশ। বিশ্ব দরবারে আমাদের পরিচিতি ছিল হতদরিদ্র, গরিব রাষ্ট্র হিসেবে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ছিল না, আর্থিক অবস্থা ছিল একেবারেই দীনহীন, ছিল না উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। দেশি কিংবা বিদেশি বিনিয়োগের পরিবেশ - সে তো অনেক দূরের বিষয়। এ কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষের কাছে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারতাম না।

সেই দরিদ্র, ভঙ্গুর অর্থনীতির রাষ্ট্র বাংলাদেশের চেহারা আমূল পাল্টে গেছে গত প্রায় এক দশকেরও বেশি সময়ে। বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। সারা বিশ্বে আজ বাংলাদেশের পরিচিতি একটি উন্নয়নশীল এবং উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে। বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমের চোখে বাংলাদেশ এখন আর আগের বাংলাদেশ নেই। এটি আগামী দেড় দশক পর অর্থাৎ ২০৪০ সালে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। 

১৯৮১ থেকে ২০২৪ সাল, দীর্ঘ ৪২ বছরের বেশি সময়ে দেশের রাজনীতির অনেক পট-পরিবর্তন দেখেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনেক বিশ্বাস ঘাতককে কাছ থেকে দেখেছেন। দেখেছেন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের। রাজনীতির মঞ্চে নিজ পরিবারের বিরুদ্ধে অসংখ্য অপপ্রচার ও প্রোপাগান্ডার জবাব দিতে হয়েছে তাকে। তাকে খুনের চেষ্টা করা হয় ১৯ বারের বেশি।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় চোখের সামনে মারা যেতে দেখেন একান্ত অনুগতও বিশ্বস্ত সব মানুষগুলোকে। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে কিভাবে প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছে মানুষ। কেননা সবার মনেছিলো এই আশা, বঙ্গবন্ধুর 'সোনার বাংলা' কেবল তার কন্যার মাধ্যমেই আলোর মুখ দেখবে। ১৯৯৬ সালে সোনার বাংলা গড়ে তোলার যেই দৃঢ়তা তিনি দেখিয়ে ছিলেন। তা পরিপূর্ণতা দানের সময় তিনি পেয়েছিলেন ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে। আর তার পরের বিস্ময়কর সব অর্জনের ইতিহাস বিশ্বের কারো অজানা নয়।

এইযে আজকের বাংলাদেশ দেখছেন, এটার অবদান বঙ্গবন্ধু কন্যার। জিনি দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ভালোবেসে দেশকে নিয়ে গেছেন উন্নয়নের শিখরে।

সর্বশেষ: