রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

কিছুতেই কমছে না পেটের মেদ, কী করবেন

কিছুতেই কমছে না পেটের মেদ, কী করবেন

শরীরে অত্যধিক মাত্রায় মেদ জমা হওয়া একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। বরং অতিরিক্ত মেদ অন্যান্য অনেক অসুখের কারণ হতে পারে। পুরুষ কিংবা নারী, প্রত্যেকেরই পেটের অতিরিক্ত মেদ কমানোর জন্য বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

শরীরে অন্যান্য অঙ্গের জমে থাকা মেদ কমে গেলেও অনেক চেষ্টা করেও কিছুতেই পেটের মেদ কমতে চায় না। এই মেদ জমার অন্যতম কারণ অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল এবং খাদ্যাভ্যাস। পাশাপাশি পারিবারিক কারণেও অনেকের শরীরে মেদ জমার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাদের আরও বেশি স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া দরকার। কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে চললে অনায়াসেই কমানো সম্ভব পেটের মেদ।

শরীরে অন্যান্য অঙ্গের জমে থাকা মেদ কমে গেলেও অনেক চেষ্টা করার পরেও পেটের মেদ কমতে চায় না

  • প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস করতে হবে। তার পর মেডিটেশন করুন কিংবা হালকা ব্যায়াম। মিনিট ত্রিশ হাঁটতে পারেন স্নিগ্ধ বাতাসে। এর মাধ্যমে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। সঙ্গে মেটাবলিজমও বৃদ্ধি পায়। হজম শক্তিও বৃদ্ধি পায় এর সঙ্গে। পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্যও দারুণ উপকারী সকালে ঘুম থেকে উঠা। ঘুম থেকে উঠার পর নিয়মিত অভ্যাসগুলো করলে পেটের মেদ ধীরে ধীরে কমে যাবে।
  • শরীরে রক্ত সঞ্চালন সঠিক রাখতে, হজমশক্তি বাড়াতে খুবই উপকারী কপালভাতি প্রাণায়াম। এক মাধ্যমে পেটের মেদও কমে।

পেটের মেদ জমার অন্যতম কারণ অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল এবং খাদ্যাভ্যাস

  • আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত হালকা গরম পানি পান করলে মেদ দ্রুত কমে। এর পাশাপাশি বাড়ে মেটাবলিজম। মেদ শুধু পেটেই জমে না। শরীরে অন্যান্য অঙ্গেও মেদ জমে। তাই নিয়মিত এগুলো অভ্যাস করা দরকার।
  • অনেকেরই হয়তো ধারণা নেই ওজন কমানোর জন্য শুধু শরীরচর্চা করলেই চলে না। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমও খুব প্রয়োজনীয়। প্রতিদিন অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। এর মাধ্যমে হরমোনের ভারসাম্য যেমন বজায় থাকে, তেমনই দ্রুত মেদ ঝরে, ওজন কমে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

দৈনিক বগুড়া