শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে দ্রুত বাড়ছে ‘স্লিপ ডিভোর্স’, সমাধান কি?

দেশে দ্রুত বাড়ছে ‘স্লিপ ডিভোর্স’, সমাধান কি?

সংগৃহীত

বিবাহ হল সারা জীবনের বন্ধন। তবে অনেক সময় দেখা যায় সারা জীবনের জন্য এক ছাদের নিচে বসবাস করা দম্পতিদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে, যার কারণে তারা বিবাহবিচ্ছেদের মতো সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়ে যায়। কিন্তু এমনও অনেক দম্পতি রয়েছে যাদের জন্য বিবাহবিচ্ছেদের মতো সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ নয়। এর ফলে গত কয়েক বছরে বিভিন্ন জায়গায় ‘স্লিপ ডিভোর্স’-এর প্রবণতা বেড়ে গেছে।

বিবাহ বিচ্ছেদের অর্থ হল স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ, অর্থাৎ স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে কোনো সম্পর্ক থাকবে না, দুজন আলাদাভাবে নিজের জীবন শুরু করবে। কিন্তু ‘স্লিপ ডিভোর্স’ হল দম্পতিরা একই ছাদের তলায় বসবাস করবে কিন্তু একসঙ্গে ঘুমাবে না।

বর্তমান যুগে এমন অনেক দম্পতি আছে যারা দুজনই কর্মজীবী। এই ব্যস্ত জীবনে শান্তির ঘুম শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি মন ও মস্তিষ্ককে শান্ত রাখার জন্য খুবই জরুরি। কিন্তু বৈবাহিক জীবনে অশান্তি থাকার কারণে সঙ্গীর সঙ্গে ঘুমানোর ফলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। এমন পরিস্থিতিতে, দম্পতিরা দুজন দুটো ভিন্ন ঘরে ঘুমানোর সিদ্ধান্ত নেয়, অর্থাৎ একসাথে থাকার পরও এক সঙ্গে না থাকার সিদ্ধান্ত।

শরীর সুস্থ রাখার জন্য দিনে ৭-৮ ঘণ্টার গভীর ঘুম প্রয়োজন। ঘুমের মান উন্নত করার জন্য প্রয়োজন হাত পা ছড়িয়ে স্বাধীনভাবে ঘুমানো। যা সম্ভব হয় স্লিপ ডিভোর্সের ফলে। তবে স্লিপ ডিভোর্সকে জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া না করে শুধু বিকল্প প্রক্রিয়া হিসেবে ব্যবহার করা উচিত, তাহলে সম্পর্কে ক্ষতি কম হয়। অন্তত সম্পর্ক ঠিক করার চেষ্টা করার জন্য সাপ্তাহিক ছুটির দিনে একসাথে ঘুমানোর পরিকল্পনা করা উচিত, এর ফলে শারীরিক দূরত্বের সঙ্গে মানসিক দূরত্বও কমতে শুরু করে।

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ