বাংলার ঐতিহ্য বুকে ধারন করে মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার সিও বাসট্যান্ড সংলগ্ন কাঁচাবাজারে হয়ে গেলো নবান্নের মাছের মেলা।
মেলার আগের দিনগুলোতে চলতে থাকে মাইকিং সহ বিভিন্ন প্রচরনা। দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে নবান্নের আগের রাতে থেকে আসতে শুরু করে মাছ বা মাছবাহি পরিবহনগুলো। প্রতি বছরের ন্যায় বড় বড় মাছের অপেক্ষায় থাকে দুপচাঁচিয়া সহ আশেপাশের উপজেলার মানুষ।
নবান্ন এলেই যেন বিলুপ্তি হওয়া সহ অতি পরিচিত বা নিত্য নতুন মাছের দেখা মেলে এই মাছের মেলায়। আকর্ষণ থাকে বড় মাছগুলোর প্রতি। মেলাতে প্রতিবারের ন্যায় এবারেও বড় মাছ গুলোর মধ্যে রুই, কাতল, সিল্ভার, ব্রিকেট সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চোখে পড়ে।
বড় হক বা ছোট হক সামর্থ্য অনুযায়ী মাছ কেনে এই এলাকার মানুষ। তবে সম্মেলিত ভাবেও মাছ কিনতে দেখা যায় অনেককে। জামাইদেরও চোখে পরে মাছ কেনার ব্যস্ততায়। তবে মেলার সময় কম থাকায় খুব ভোর হতে আসতে হয় মাছের মেলাতে। স্থায়ী মাছ বিক্রেতার পাশাপাশি যেন মৌসুমী মাছ বিক্রেতার ও দেখা মেলে। মাছ দেখা বা কেনার জন্য শিশু, স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী সহ সকল বয়সী মানুষদের থাকে উপচেপড়া ভিড়।
বিসমিল্লাহ মৎস্য আড়তের পরিচালক মোঃ উমর ফারুক বলেন মাছের মেলাতে আসা মাছ গুলো সাধারণ মানুষের কেনার সামর্থ্যরে মধ্যে মূল্য থাকায় সন্তষ্ট থাকে মাছ ক্রেতারা।
দুপচাঁচিয়া মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রতন মন্ডল বলেন, মেলার জায়গা পরিসরে কম হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় মেলায় মাছ কিনতে আসা ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের।
দৈনিক বগুড়া