শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মালামাল উদ্ধার

বগুড়ায় যৌথ অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মালামাল উদ্ধার

র‌্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্প গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বগুড়ার সদর থানার অন্তর্গত নাটাইপাড়া ও গোদারপাড়া এলাকায় সোমবার (১১ -১০-২১) দুপুর ১২ টা হতে ৩ টা পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তর এবং বিএসটিআই এর সহায়তায় পৃথক পৃথক দুইটি অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এতে জব্দ করা হয় বিভিন্ন নিম্নমানের সামগ্রী, পলিথিন। প্রতিষ্ঠান ও মালিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় বিভিন্ন আইনে মামলা।

বগুড়া জেলার সদর থানার অন্তর্গত নাটাইপাড়া এলাকার আবু হাসনাত মোহাম্মদ মোসাদ্দেক তুহিম এর মালিকানাধীন “হাসনাত ব্রাদার্স” ফ্যাক্টরীতে অভিযান চালিয়ে বিএসটিআই এর অনুমোদনহীন বিপুল পরিমান নকল ডিটারজেন্ট পাউডার, কাঁচামাল, নকল মোড়কজাতকৃত সরিষার তৈল এবং বিভিন্ন নকল মোড়ক উদ্ধার করে প্রশাসন। যা পরবর্তীতে বিএসটিআই এর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং বিএসটিআই পক্ষ হতে মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। অভিযানে যেসব পন্য জব্দ করা হয়েছে সেসব পন্য দেশের নামীদামী পন্যের নামের থেকে একটু আলাদা। যা সহজেই সাধারণ জনগনকে ধোকা দেওয়া সম্ভব।

এছাড়াও দেশের নামীদামী ব্রান্ডের মোড়ক জব্দ করা হয় যা অঅনুমোদিত। হাসনাত ব্রাদার্স এর মালিক তুহিনের বিরুদ্ধে অতীতেও বিএসটিআইয়ের দায়ের করা মামলা চলমান আছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় অনেকেই। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তার ফ্যক্টরীতে দেশের নামীদামী ব্রান্ডের নামের কিছু অক্ষর পরিবর্তন করে হুবুহু নকল মোড়ক তৈরী করে বাজারজাতের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে কাপড় ধোয়ার পাউডার। যার নাম দিয়েছে রিম। এরকম বহু পন্যের নামের শুধুমাত্র একটি ইংরেজী অক্ষর বদল করে চালিয়ে যাচ্ছে তার প্রতারণার এই ব্যবসা। যেখানে প্রতারণার শিকার হচ্ছে সাধারণ ভোক্তা। তারা কোন কিছু না বুঝে ও দেখেই কিনে নিচ্ছে এসব ভেজাল পন্য।

এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, তুহিন দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ ভোক্তাদের ঠকিয়ে বিভিন্ন নকল নাম ও মোড়ক ব্যবহার করে এই ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো। গত বছরের ১০ই নভেম্বর তার মালিকানাধীন এই ফ্যাক্টরীতেই অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত৷ এখনকার মত তখনো জব্দ করা হয় বিপুল পরিমান এইসব নিম্নমানের সামগ্রী৷ তাকে করা হয় জরিমানাও। অনুমোদন না নিয়ে ও অবৈধ নাম ব্যবহার না করার শর্তে সেবারের মত মাফ চেয়ে ছাড়া পান মালিক তুহিন।

কিন্তু চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী। চতুর তুহিন তার এই অপকর্ম লুকিয়ে লুকিয়ে চালিয়ে যাচ্ছিলো। থেমে থাকেনি মানুষকে প্রতারণা করার অভ্যাস। দিনের চেয়ে রাতেই চলতো তার এই ফ্যাক্টরীর কাজ। কিন্তু বিধি বাম!! তার এই অবৈধ ব্যবসায় বাধ সাধে র‍্যাব ও বিএসটিআই। আজ চালানো হলো অভিযান, জব্দ করা হলো অনেক নিম্নমানের কাচামাল, দায়ের করা হলো মামলা। তুহিন নাটাইপাড়া এলাকার ইব্রাহিম হোসেন এর পুত্র বলে জানা গেছে।

অপরদিকে বগুড়া পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ডের গোদারপাড়া এলাকার আব্দুস সালাম (৩৫) এর মালিকানাধীন এস, এস পলিমার এন্ড প্রিন্টার্স ফ্যাক্টরীতে অভিযান চালিয় পরিবেশ অধিদপ্তর। এসময় অনুমোদনহীন বিপুল পরিমান পলিথিন এবং কাঁচামাল উদ্ধার করা হয়, যা বর্তমানে পরিবেশ অধিদপ্তরের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ হতে মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। উক্ত ফ্যাক্টরীর মালিক আব্দুল সালাম গোদারপাড়া এলাকার নফিজ উদ্দীনের পুত্র।

দৈনিক বগুড়া