শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সাসেক-২ প্রকল্পের সুফল

এবার উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির!

এবার উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির!

সংগৃহীত

উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে প্রতিবছর ঈদযাত্রায় যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হয় ঘরমুখো মানুষদের। কিন্তু সে চিত্র অতীতের সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিয়েছে।

সাসেক-২ প্রকল্পের আওতায় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর থেকে বগুড়া পর্যন্ত দুই লেনের মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ শেষ হয়েছে ৮৫ শতাংশ। সেই সঙ্গে খুলে দেয়া হয়েছে বেশকটি আন্ডারপাস। এতে এবারের উত্তরাঞ্চলের ২২ জেলার মানুষের ঈদযাত্রা স্বস্তির হবে বলে আশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক দিয়ে স্বাভাবিক সময়ে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ২২ জেলার হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। ঈদের আগে এ সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ঈদযাত্রায় যানবাহনের অতিরিক্ত এ চাপের কারণে প্রতিবছরই যানজটে পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভোগান্তি পোহাতে হয় এ পথে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকদের।

কিন্তু এবার সে চিত্র হবে অন্যরকম। সাসেক-২ প্রকল্পের সুফল পাবে এ অঞ্চলের মানুষ। এর মধ্যে এ মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ মুলিবাড়ি, কড্ডা ও নলকার মোড়ে অনেক আগেই খুলে দেয়া হয়েছে নবনির্মিত আন্ডারপাসগুলো। এতে এ মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনগুলো যানজট ছাড়াই স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করতে পারবে।

চালক ও যাত্রীরা বলছেন, মহাসড়কের বিভিন্ন অংশ খুলে দেয়ায় এবারের ঈদযাত্রা হবে অনেকটা স্বস্তিদায়ক।

সাসেক-২ প্রকল্পের আওতায় হাটিকুমরুল ইন্টারচেঞ্জের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম গোলচত্বর থেকে বগুড়া পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এতে অন্যবারের চেয়ে এ বছর ঈদযাত্রার যানবাহনগুলো স্বাভাবিক গতিতেই চলাচল করতে পারবে। 

বিশেষ করে কড্ডার মোড় ও নলকার মোড়ে প্রতিবছর যানজট বেশি দেখা গেলেও, এবার এ জায়গাগুলোতে আন্ডারপাস খুলে দেয়ায় দূরপাল্লার গাড়িগুলো ওপর দিয়ে চলে যাবে। আর অন্যান্য গাড়ি আন্ডারপাসের নিচ দিয়ে চলাচল করলে এ পথে কোন যানজট থাকবে না।

সাসেক-২ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হেগো-মীর আকতার জেভির প্রজেক্ট ম্যানেজার এখলাছ উদ্দিন জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই পরিকল্পনামাফিক মহাসড়কের কাজ করায় এবার ঈদযাত্রায় সুফল পাবে ঘরমুখো মানুষ। সেই সঙ্গে মহাসড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো চিহ্নিত করে ঈদের আগেই সংস্কার কাজ শেষ করা হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি যাত্রীদের নিরাপত্তায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ থাকবে; সেই সঙ্গে বেশ কয়েকটি মোবাইল টিম রাখা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় থেকে বগুড়ার মির্জাপুর পর্যন্ত ২ লেনের মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮০৫ কোটি টাকা।