মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

মৌসুমে বগুড়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি সে.

মৌসুমে বগুড়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি সে.

সংগৃহীত

টানা তাপদাহের মধ্যে আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) এ মৌসুমে বগুড়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজকের তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর তিনদিন আগে গত শুক্রবার জেলায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে স্বাধীনতার পর ১৯৮৯ সালের ২১ এপ্রিল বগুড়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তপ্ত বৈশাখে তাপমাত্রার এমন উদ্ধত্ত্ব আচরণ দেখে সামনের দিনগুলো কেমন হবে তা ভেবে এক অজানা আশঙ্কায় দিন কাটছে জনমনে। আগামী মাসের প্রথম থেকে বৃষ্টি ও তাপমাত্রা কমার পূর্বাভাস দেওয়া হলেও ১২ তারিখের পর আবারও তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

গত বছর এপ্রিলের চেয়ে মে মাসে তাপমাত্রা বেশি ছিল। সূত্রানুযায়ী গত বছরের  এপ্রিলে তাপমাত্রা কম থাকলেও ১০ মে ৪০ ডিগ্রি ও  ১৬  জুন ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। সুতরাং আসছে মাসে যে আবহাওয়া সহনীয় পর্যায়ে থাকবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষণে জানা যায়, শেষ তিন দশকে এদেশের আবহাওয়া  দিন দিন উষ্ণ হয়ে উঠছে। বৃষ্টিপাত কম হচ্ছে। শীতকালের স্থায়ীত্ব কমছে। অন্যদিকে বছরে ৩৬৫ দিনের বড় অংশজুড়ে গরমের বিস্তার বাড়ার ফলেই তাপমাত্রার পারদ চড়তে চড়তে দিন দিন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। দীর্ঘ হচ্ছে তাপপ্রবাহ। কমছে বাতাসের আর্দ্রতা।

চারিদিকে শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করছে। বাড়ছে অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি। আবাহাওয়ার তারতম্যের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে শীতের প্রকোপ যেমন বেশি, তেমনি গরমও বেশি। যদিও বগুড়ায় গ্রীষ্মকালে সাধারণত গড় তাপমাত্রা থাকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৮৯ সালে পর ২০১০ সালে ২১ বছর পর ১১ মে তাপমাত্রা উঠেছিল হয়েছিলো ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এরপর আর ৪০ ডিগ্রিতে ওঠেনি তাপমাত্রা। গত বছর ২০২৩ সালে ১০ এপ্রিল তাপমাত্রা আবারও বেড়ে গিয়ে ৪০ ডিগ্রি, ১০ মে ৪০ ডিগ্রি, ১৬  জুন ৪০.২ ডিগ্রি পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়। এ বছর ইতোমধ্যে ৪০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার তাপে পুড়েছে শহর, নগর ও মানুষ। এ বছর তাপমাত্রার পারদ সবকিছু ছাড়িয়ে যাবার আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস।

সর্বশেষ: