শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

বিপিএলে সিলেটের জয় দিয়ে শেষ হলো

বিপিএলে সিলেটের জয় দিয়ে শেষ হলো

 

বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে আগের ম্যাচে রাজশাহী কিংসের কাছে ৭৬ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছিল সিলেট সিক্সার্স। এ হারের পরই শেষ চারের তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায় তারা। আর শুক্রবার সবশেষ ম্যাচে সিক্সার্সরা মুখোমুখি হয় চিটাগং ভাইকিংসের। দুইবারের দেখায় দুইবারেই ভাইকিংসকে হারিয়েছে দলটি। 

পরিসংখ্যানে যখন ১২ ম্যাচে পাঁচটি জয় আর সাতটি হার। ফলে শেষ পর্যন্ত সিলেটকে বাদই পড়তে হয় গ্রুপ পর্ব থেকে।

অস্ট্রেলীয় তারকা ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নারকে দলে নিয়ে চলতি আসরটা বেশ চমক দিয়েই শুরু করেছিল সিলেট সিক্সার্স। দেশি-বিদেশি তারকা খেলোয়াড় আর তারুণ্য নির্ভর একটা দল নিয়ে ভালো কিছু করার আশাতেই ছিল দলটি। মাঝে মাঝে জ্বলেও উঠেছিল ওয়ার্নারের নেতৃত্বে।

কিন্তু হঠাৎ ইনজুরিতে পড়ে যান ওয়ার্নার। মাঝপথেই ফিরে যান দেশে। এরপর অধিনায়কত্বের ভার ওঠে পাকিস্তানি খেলোয়াড় সোহেল তানভীরের কাঁধে। তাতেও ব্যর্থ। সবশেষ দায়িত্ব পান অলোক কাপালি। তার নেতৃত্বেও ভালোই খেলেছে দলটি। ফলে ছিটকে পড়ার শঙ্কা কাটিয়ে এক পর্যায়ে শেষ চারে উঠার আশা জাগায় সিলেট। সবশেষে রাজশাহীর সঙ্গে হারের পর সে আশায় গুড়েবালি। স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার। 

যা হোক, শুক্রবার সন্ধ্যায় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ভাইকিংস অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ব্যাটিংয়ে নেমে সিলেটের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আন্দ্রে ফ্লেচার খেলেন ৫৩ বলে ৬৬ রানের ইনিংস। এরপর সাব্বির রহমানের ৩২ আর মোহাম্মদ নেওয়াজের ৩৪ রানে ভর করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে।

ভাইকিংসের হয়ে হার্ডুস ভিলজয়েন বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচেই নেন ৪টি উইকেট। ১টি উইকেট নেন নাঈম হাসান।

এরপর ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ে পড়ে চিটাগং ভাইকিংস। একমাত্র মুশফিক ছাড়া কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেনি। অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ৪৮ রান। এছাড়া মোসাদ্দেক হোসেন করেন ২৫ এবং ইয়াসির আলী করেন ২৭ রান।

বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় গোটা ২০ ওভার শেষ করতে পারেনি চিটাগং ভাইকিংস। ১৮ ওভার ৩ বলে গুটিয়ে যায় দলটি। রানের খাতায় থাকে ১৩৬ রান। এতে ২৯ রানে সহজ জয়ে মাঠ ছাড়ে সিলেট সিক্সার্স।

সিলেটের হয়ে এবাদত হোসেন ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেনে। এছাড়া ওয়েন পার্নেলের ২টি ও ১টি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ নেওয়াজ ও অলোক কাপালি।

দৈনিক বগুড়া

সর্বশেষ: