বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

রুমায় সেনা অভিযানে দুই কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত

রুমায় সেনা অভিযানে দুই কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত

সংগৃহীত

বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার অধীন দুর্গম বাকলাইপাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে দুই কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। গতকাল রবিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রবিবার ভোররাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে সেনাবাহিনীর টহল দল একটি অভিযান পরিচালনা করে। ভোর ৪টার দিকে টহল দল ওই এলাকা ঘেরাও করে তল্লাশি চালায়।

টহল দলের তল্লাশি অভিযান চলাকালে ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে কেএনএর সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর গুলি ছোড়ে। এ সময় সেনাবাহিনী পাল্টা গুলি ছুড়লে দুই কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত এবং বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হন। নিহত দুই সদস্য থানচি ব্যাংক ডাকাতি দলের সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে। ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে সেনাবাহিনীর টহল দল তিনটি এসবিবিএল, বিপুলসংখ্যক কার্তুজ, ওয়াকিটকি সেট, মোবাইল ফোন ও ইউনিফর্ম উদ্ধার করে।

ওই এলাকায় অভিযান এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তল্লাশি কার্যক্রম চলছে। থানচি থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন জানান, এলাকাটি রুমা থানাধীন রেমাক্রি-প্রাংশা এলাকায় হলেও সেখানে পুলিশের পৌঁছতে বেশ কয়েক ঘণ্টা লাগে। এ কারণে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধারে পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে থানচি থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে থানচি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।

সেখানে মর্গ না থাকায় চিকিৎসকদের পরামর্শে লাশগুলো বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। গত ২ ও ৩ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে তিনটি ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা, অস্ত্র ও টাকা লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় ৩ এপ্রিল থেকে যৌথ বাহিনী সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করে। পরে সেনাবাহিনী এতে যুক্ত হয়। তাদের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছেন। বর্তমানে এই অভিযান চলমান।

এদিকে থানচির ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় আটক টাইসন বম ও ভান খলিয়ান বমকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাঁদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ নিয়ে রুমা ও থানচির ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় ৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রত্যেককে আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এর মধ্যে ২০ জনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী জানান, রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতিপ্রাপ্তদের পর্যায়ক্রমে বান্দরবান কারাগার থেকে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

সর্বশেষ: