বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ফসলে পোকামাকড় সনাক্তকরনে আলোক ফাঁদ

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ফসলে পোকামাকড় সনাক্তকরনে আলোক ফাঁদ

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় কৃষকরা আলোক ফাঁদ প্রযুক্তি ব্যবহার করে চলতি বছরের রোপা আমন মৌসুমে ক্ষেতের পোকা মাকড়ের উপস্থিতি পর্যবেক্ষন ও সনাক্তকরন করছে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় এই কার্যক্রম চলতি মৌসুমে ১৫ অক্টোবর থেকে দুটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়নে ২০টি ব্লকে পর্যায়ক্রমে আলোক ফাঁদ প্রযুক্তি ব্যবহার চলছে। আলোক ফাঁদ প্রযুক্তি হচ্ছে রাতে জমির পাশে তিনটি খুঁটি পুঁতে মাঝখানে লাইট বা আলোর ব্যবস্থা করা হয়। আলোর নিচে একটি গামলায় ডিটারজেন্ট বা সাবান মিশ্রিত পানি রাখলে আলো দেখে পোকামাকড় এ স্থানে ছুটে আসে এবং গামলায় পড়ে। ধান গাছে কারেন্ট পোকা, মাজরা পোকা, চুঙ্গি, গান্ধী পোকা, পামরী, পাতা মোড়ানো পোকা সহ বিভিন্ন ক্ষতিকর পোকার আক্রমন করে।

এই পোকাগুলোর আক্রমনে ধানের শীষ সম্পূর্ন ভাবে নষ্ট হয়ে যায়, এতে ফসলের উৎপাদন কমে যায়। আলোক ফাঁদ ব্যবহারে পাত্রের পোকামাকড়ের পরিমান দেখে চলতি মৌসুমে এই অঞ্চলের উপকারী ও ক্ষতিকর পোকামাকড়ের উপস্থিতি শনাক্ত করে তা নিধনে কোন কীটনাশক প্রয়োগে সুফল পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয় কৃষকদের। এবার দুপচাঁচিয়ায় ১১ হাজার ৮শ হেক্টর জমিতে উফশি ও হাইব্রিড জাতের আমন ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে।

উপজেলার গুনাহার ইউনিয়নের হাপুনিয়া গ্রামের সুফলভুগী কৃষক রায়হান হোসেন বলেন, আমাদের এলাকায় আলোক ফাঁদ প্রযুক্তি ব্যবহার করে উপকারিতা পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে সাড়া জাগিয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাজেদুল আলম জানান, সঠিকভাবে ক্ষেতের পোকামাকড় শনাক্তের জন্য আলোক ফাঁদ ইতোমধ্যেই কৃষকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। গত ১৫অক্টোবর হতে ২০টি ব্লক ভিত্তিতে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ আলোক ফাঁদ পদ্ধতি ব্যবহার করছে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছেন।

 

দৈনিক বগুড়া