আগামী অর্থ বছর থেকে প্রতিবন্ধী শিক্ষাবৃত্তি, বয়স্ক, বিধবা ভাতাসহ চার ধরনের সামাজিক নিরাপত্তামূলক ভাতা জিটুপি পদ্ধতিতে প্রদান করা হবে।
বুধবার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় আরো জানানো হয়, এ কর্মসূচিতে ৮৮ লাখ ৫০ হাজার জন ভাতাভোগীদের মধ্যে গত ৭ জুন পর্যন্ত প্রায় ৮৭ লাখ ৭৫ হাজার ৬০০ জনের ডাটা এমআইএস এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাকীদের অন্তর্ভুক্তির কাজ চলছে।
কমিটি সদস্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন, আরমা দত্ত, শবনম জাহান এবং কাজী কানিজ সুলতানা অংশগ্রহণ করেন। বিশেষ আমন্ত্রণে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান সভায় যোগদান করেন।
সভায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন জিটুপি পদ্ধতির মাধ্যমে ভাতা প্রদান কার্যক্রমের বাস্তবায়ন অগ্রগতি, শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান ট্রাস্ট (বাংলাদেশ) নিয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
এছাড়া করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ চলাকালীন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্ত দফতরগুলোর বিভিন্ন কার্যক্রমের অগ্রগতি এবং বিশেষ শিক্ষা শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ, জাতীয় বিশেষ শিক্ষা কেন্দ্র, মিরপুর -১৪ এর জনবল ও সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করা হয়।
কমিটি মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের এ কাজের সফলতার জন্য সন্তোষ প্রকাশ করে এবং সারাদেশে এ কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে অভিনন্দন জানায়।
এ সময় করোনাকালে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অটিস্টিক শিশুদের জন্য বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ এবং বিশেষ শিক্ষা শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজের কার্যক্রম অত্যন্ত সতর্কতা ও গুরুত্ব সহকারে করার সুপারিশ করা হয়।
কমিটি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমে স্থানীয় এমপিদের পাশাপাশি সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপিদের অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দফতর সংস্থার প্রধানসহ সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক বগুড়া