গোলাপের সঙ্গে সৌন্দর্যের সম্পর্কটা বরাবরই বেশ নিবিড়। কাউকে যদি তার সৌন্দর্য নিয়ে প্রশংসা করেন, তবে কিন্তু গোলাপের সঙ্গেই তুলনা করতে হয়। এছাড়াও রূপচর্চায় গোলাপের ব্যবহার আদিকাল থেকেই।
গোলাপের মতো গোলাপ জলের মিষ্টি সুগন্ধও এই গরমে আপনাকে নিমিষেই তরতাজা হয়ে উঠতে সহায়তা করবে। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক রূপচর্চায় গোলাপজলের কিছু ভিন্ন ব্যবহার...
শুষ্ক ত্বকের সমস্যায়
রুক্ষ আর শুকনো ত্বকের যত্নে প্রতিবার ময়শ্চারাইজার মাখার আগে আপনার দরকার গোলাপজল। স্প্রে বোতলে গোলাপজল ভরে রাখুন। গোসলের পর আগে সারা শরীরে স্প্রে করে নিন, তারপর সঙ্গে সঙ্গে ময়শ্চারাইজার মেখে ফেলুন। গোলাপজল ময়শ্চারাইজারের আর্দ্রতা ত্বকের গভীরে ঢুকতে সাহায্য করবে।
পিএইচ ব্যালান্স
আপনার ত্বক কি আজ খুব তেলতেলে লাগছে, তো কালই ভীষণ টান ধরছে? এমন হলে এর কারণ হয়তো আপনার পিএইচ ভারসাম্যে কিছু গোলমাল হচ্ছে। এক্ষেত্রেও আপনাকে সাহায্য করবে গোলাপজল। মুখের পিএইচ ব্যালেন্স ফিরিয়ে এনে ত্বক সুস্থ করে তোলার ক্ষমতা রয়েছে গোলাপজলের। সাধারণ পানির বদলে কয়েকবার মুখে গোলাপজলের ঝাপটা দিন, ত্বক দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।
ফেসপ্যাক লাগানোর আগে
মুখে ঘরোয়া ফেসপ্যাক লাগানোর আগে তুলোয় করে গোলাপজল নিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে নিন। ত্বক আগে থেকে পরিষ্কার করে নেবেন। মুখে গোলাপজল লাগানোর পরে ফেসপ্যাক লাগান। তাতে ফেসপ্যাকের কার্যকারিতা বাড়বে, গোলাপজলও ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে ত্বক আর্দ্র রাখবে।
টোনার হিসেবে
কেমিক্যালে ভরা টোনারের চেয়ে গোলাপজল অনেক বেশি লোভনীয় অপশন। গোলাপজলের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ ত্বক স্নিগ্ধ করে, ত্বকের জ্বালাভাব, র্যাশ কমায়। তুলোয় করে নিয়ে মুখে বুলিয়ে নিন, ত্বক ঠাণ্ডা হয়ে যাবে নিমেষে।
কাটাছেঁড়া, র্যাশ কমাতে
গোলাপজলের মধ্যে হালকা অ্যাস্ট্রিনজেন্ট ও অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ রয়েছে। তাই হাত-পা শেভ করতে গিয়ে কেটে গেলে বা কোথাও দানা দানা র্যাশ বেরোলে ভরসা রাখুন গোলাপজলের উপরে। তুলোয় করে লাগিয়ে নিন সেই জায়গাটায়, সেরে উঠবে দ্রুতই।
গোসলের সময়
এই গরমের স্বস্তির গোসল দিতে চাইলে, এসেনশিয়াল অয়েলের বদলে গোসলের পানিতে মিশিয়ে দিন গোলাপজল। শরীর, মন দুই-ই তরতাজা হয়ে উঠবে। বাড়তি পাওনা হিসেবে গোলাপের মনকাড়া সুগন্ধ তো রইলই!
দৈনিক বগুড়া
