বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

উন্নয়নের কারিগর মেয়র মানিক আমৃত্যু মনে রাখবে পৌরবাসী

উন্নয়নের কারিগর মেয়র মানিক আমৃত্যু মনে রাখবে পৌরবাসী

শিবগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়ন! একটি ৩য় শ্রেণির পৌরসভার উন্নয়ন! না এটি যথার্থ হবে না। মাত্র ৪ বছরের উন্নয়ন চিত্রে যদি বলতেই হয় বলতে হবে এক জনদরদী বীরের থেকে পৌরবাসীর প্রতি হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ এ পৌরসভার উন্নয়ন। দল-মত, নারী-পুরুষ, যুবক-বৃদ্ধ এমনকি ছোট্ট শিশুদেরও চাহিদা পূরণে সুখে, দুঃখে পাশে থেকেছে মেয়র মানিক।

স্বাধীনতার পর শিবগঞ্জের মাটিতে ‘নৌকা মার্কা’র একমাত্র জয় মেয়র মানিকের হাতেই। আর নৌকাতেই যে একমাত্র উন্নয়ন সম্ভব তা বুঝতে আর বাকি নেই সচেতন পৌরবাসীর। ২০০২ সালে শিবগঞ্জ পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে প্রায় ১৩ বছর বিএনপি-জামায়াতের লুটেরা রাজনীতিতে অবহেলা-লাঞ্চনার স্বীকার হয় ‘শিবগঞ্জ পৌরসভা’। মাত্র ৪ বছরে নৌকা মার্কার জয়ের পরপরই চিত্রটা সম্পূর্ণ পাল্টাতে শুরু করে। অভাবনীয় উন্নয়ন চিত্রে যেন চোখ খুলে যায় পৌরবাসীর ।

বিশেষ করে উপজেলাজুড়ে যেকোন নির্বাচনের একটি ইস্যু ছিল করতোয়া নদীর উপর অর্জুনপুর-রাঙামাটি সেতু। কিন্তু কোন জনপ্রতিনিধিরা এ কথা রাখেনি কখনো। কিন্তু গত পৌরসভা নির্বাচনে অদম্য সাহসী মেয়র মানিক অর্জুনপুরবাসীকে কথা দেয় এব্রিজ তিনি বাস্তবায়ন করেই ছাড়বেন। যেমন কথা তেমন কাজ। অবশেষে নিন্দুকদের সকল কটুক্তি উপক্ষো করে এসেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে এলাকাবাসীর বহুল আকাঙ্খিত স্পন্ন আজ বাস্তবায়নের পথে। অপরদিকে শুরু করেছেন ভুরঘাটা মহল্লায় সেতু নির্মাণের কাজ।

একের পর এক সুদীর্ঘ আরসিসি ড্রেন নির্মাণ, অসংখ্য সড়ক সংস্কার, কার্পেটিং ও বিসি সড়ক নির্মাণসহ পৌরসভার সিংহভাগ উন্নয়নই করেছেন মাত্র এক মেয়াদকালেই।

বর্তমান সময়ে কোভিট-১৯ এর প্রভাবে আরো প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। দিনমজুর, হোটেলশ্রমিক, প্রতিবন্ধীসহ অসহায় মানুষদের আস্থা হয়ে উঠেছেন মেয়র মানিক। দিনে রাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাহায্য-সহযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

শুধু তাই ই নয় মুক্তিযুদ্ধ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর আদর্শে পৌরবাসীকে অনুপ্রাণিত করতে স্থাপিত করেছেন দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু স্কয়ার।

মানুষের ধর্ম পালনেও তার দৃষ্টি আছে সজাগ। শিবগঞ্জ কেন্দ্রীয় বরকতিয়া মসজিদ ও ঈদগাহ মাঠকে দৃ্ষ্টিনন্দন, বরকতিয়া কবরস্থান, সুলতানপুর কবরস্থানের রাস্তা নির্মাণ ও কেন্দ্রীয় বানাইল মহাশ্মশান আধুনিকায়নের কাজ চলছে তার পরিকল্পনায়।

নতুন বছরে ‘খাতা উৎসব’ করে পৌর এলাকার সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন খাতা প্রদান, এলাকার এতিম অসহায় মেয়ের ধুমধাম করে বিয়ে দেওয়া, কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্য করা, ঈদে গরীবদের জন্য আলাদা করে গরু বরাদ্দ দেওয়া, অসহায়দের ঈদের নতুন পোশাক দেওয়া, শীতার্থদের মাঝে পোশাক বিতরণ, পুজায় মন্ডবগুলোতে সাহায্য দেওয়া, অসহায় হিন্দুদের বিভিন্ন সহযোগিতা দেওয়া, গরীব দুঃখি মানুষদের জন্য তিনি চালু করেছেন ‘গরীবের এম্বুলেন্স’ সেবা, এমনকি শিশু-কিশোরদের ক্রীড়ামূখী করতে খেলার উপকরণও দিচ্ছেন এ জনদরদী মেয়র। এমন অসংখ্য উন্নয়নে দল-মত নির্বিশেষে সকলে প্রিয় মুখ হয়ে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন উন্নয়নের কারিগর খ্যাত মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক। যা একটি মাত্র পৃষ্ঠায় অঙ্কিত করা সম্ভব নয়।

মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিকের কাছে পৌরবাসীকে ব্যাপক এউন্নয়ন যজ্ঞ উপহারের বিষয়ে বললে তিনি জানান, দেশ এগিয়ে চলেছে উন্নয়নের মহাসড়কে। সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিবগঞ্জ পৌরসভাও এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুত উন্নয়নের দিকে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেশরত্ন শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে ১৬ কোটি মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সুখী সমৃদ্ধশালী ও আত্মনির্ভরশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। সেই উন্নয়নের ধারাকে সমুন্নত রাখতে প্রান্তিক পর্যায়ে তাঁর একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে পৌরসভাজুড়ে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ সুসম্পন্ন করেছি। শিবগঞ্জ পৌরসভাকে একটি আধুনিক-দৃষ্টিনন্দন শহর গঠনে আমরা প্রাণান্তকর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে এউন্নয়ন চালু রাখতে পৌরবাসীর সহযোগিতা ও ভালোবাসা একান্ত কাম্য।

দৈনিক বগুড়া